নিজের মন্দ-ভালো সবকিছুই যখন সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলে তখন ভালোটা বেছে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। সন্তান জন্ম নেয়ার পরে নয়, বরং এই সচেতনতার শুরু সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই। যেদিন জানবেন আপনি মা হতে চলেছেন, সেদিন থেকে বদলে ফেলতে হবে আপনার লাইফস্টাইলও। এমন অনেককিছুই যোগ করতে হবে যা আগে আপনার দৈনন্দিন কর্মতালিকায় ছিল না। তেমনই আবার অনেককিছুই বাদ দিতে হবে সেই তালিকা থেকে। চলুন জেনে নেই এমনই কিছু কাজের তালিকা যা হবু মায়েদের জন্য একেবারেই নিষেধ।
গর্ভবতী মায়ের শরীরের অভ্যন্তরীণ উষ্ণতা ১০১-১০২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। খুব বেশি তাপে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। শিশু বঞ্চিত হতে পারে তার দরকারি পুষ্টি ও অক্সিজেন থেকে। তাই গরম পানিতে গোসল করাটাও বাদ দিতে হবে হবু মাকে।
আস্ত ফল যতটা সম্ভব খান, তবে ফলের রস নয়। গ্যাস্টেশনাল ডায়াবিটিসকে দূরে রাখতে ফলের রসের বদলে নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখুন টাটকা ফল। ফলের রসে ফাইবার কম অথচ শর্করা বেশি। চিনির আধিক্যও বেশি। তাই এটি এড়িয়ে চলুন।
চিকিৎসকেরা হবু মাকে বাঁ দিকে কাত হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে ভ্রূণের শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে। চিৎ হয়ে শুলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট, বদহজম বা নিম্ন রক্তচাপের কারণে গর্ভবতীর শরীরে আসতে পারে নানা জটিলতা।
কিছু প্রসাধনীতে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, বেঞ্জিল পারঅক্সাইড যা এই সময় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই সাবান-শ্যাম্পু থেকে শুরু করে প্রসাধনীর জিনিস কেনার আগে খুঁটিয়ে দেখুন এর উপাদানসমূহ। প্রয়োজনে পরামর্শ নিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের।
হবু মা যে ঘরে থাকেন, সেই ঘর রঙ করাতে যাবেন না যেন! কারণ রঙের মধ্যে থাকা নানা জৈব রাসায়নিক ও তার গন্ধ গর্ভবতীর শরীরের জন্য ভালো নয়। একান্তই রঙ করাতে হলে হবু মাকে সে ঘর থেকে রাখুন অনেকটাই দূরে।
মশলাদার খাবার বা জাঙ্ক ফুড এমনিতেই শরীরের ক্ষতি করে। গর্ভাবস্থায় হতে হবে আরও সচেতন। নিজেকে এবং গর্ভের সন্তানকে ভালো রাখতে এড়িয়ে চলুন জাঙ্ক ফুড।